গুগল আপনার ওয়েবসাইট ক্রল করছে বাট ইনডেক্স করছে না, কারণ কি ?

গুগল আপনার ওয়েবসাইট ক্রল করছে বাট ইনডেক্স করছে না, কারণ কি ?

গুগল এর সার্চ ইঞ্জিন এখন লেক্সিকেল সিমেন্টিক টাইপ সার্চ ইঞ্জিন এলগোরিদম (সার্চ ইঞ্জিন পরিচালনার একটি ভাগ ) ফলো করছে বেশি করে।
ফলস্বরূপ গুগল এমন সব ইনফরমেশন এভয়েড করছে যেগুলি গুগল এর মধ্যে অলরেডি ছোট বড়ো ট্রাস্টেড ওল্ড ওয়েবসাইডে কভার করেছে বারংবার। 

গুগল আপনার ওয়েবসাইট ক্রল করছে বাট ইনডেক্স করছে না

অথবা YMYL(ইওর মানি ইওর লাইফ ) ক্যাটাগরিতে ফল করছে আপনার নতুন তৈরী ওয়েবসাইট। তাই গুগল শুধু আপনার ওয়েবসাইট কে নজরে রাখছে ,যদি দেখে আপনি সাইট এ কোয়ালিটি কনটেন্ট দিচ্ছেন তাহলে গুগল আপনার সাইট এর কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিন এ ঠিক জায়গা করে দেবে। 
গুগল নতুন কনটেন্ট এক্সপেরিমেন্ট করে যে কোন সার্চ quary এর উপর কনটেন্ট টি সবচেয়ে উপযুক্তও তাই লক্ষ করে দেখবেন নতুন ওয়েবসাইট এর ট্রাফিক অনেক বেশি আপ ডাউন হয় কিছু সময় পর্যন্ত (এটিকে গুগল এর স্যান্ডবক্স এলগোরিদম বলে )।

গুগল কেন এরকম চালাকি শুরু করেছে ?

এক সময় গুগল এর ডিপ মাইন্ড প্রোগ্রাম লামডা মডেল এর উপর একটি AI Chatbot তৈরির পরিকল্পনা করা হয় যা সবকিছুর উত্তর নিমেষে দিতে পারবে কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য এটি ক্ষতিকর তাই প্রোগ্রাম টিকে স্থগিত করা হয়। 
কিন্তু এর মধ্যে থাকা কিছু স্টুডেন্ট ও প্রফেসর প্রাইভেট কোম্পানি এর ফান্ডিং এ নতুনভাবে একই রকম chatbot তৈরী করে কিছু রদবদল করে OpenAI কোম্পানির মাধ্যমে বাজারে ChatGPT তৈরী করে। যা গুগল এ থাকা ইনফরমেশন কালেক্ট করে Provide করে User দের।
কিন্তু মুশকিল হলো তখনি যখন ব্লগার রা ChatGPT থেকে কনটেন্ট লিখে সেগুলি আবার গুগলই পাবলিশ শুরু করে দিলো। মানে বুজতে পারছেন গুগল এ থাকা একই ইনফরমেশন বার বার রিপিট হচ্ছে। 
যার কোনো কোয়ালিটি নেই। বাড়ছে গুগল এর সার্ভার লোড। ভাঙছে গুগল এর চিরাচরিত কোয়ালিটি যাচাই করার এলগোরিদম।

এবার আপনি প্রশ্ন করতে পারেন "আমার ওয়েবসাইট গুগল প্রথম প্রথম ক্রল ভালোই করছিলো ,কিন্তু এখন আর ক্রল ও করে না ইনডেক্স ও করে না " কারণ কি ?

আপনার ওয়েবসাইট হয়তো পুরোপুরি রেডি ছিল না (যেমন- unique ডিজাইন / কোয়ালিটি এন্ড এফিসিয়েন্সি কনটেন্ট/ কোর ওয়েব ভাইটাল /লিগ্যাল পেজ/রোবট txt ইত্যাদি ) but আপনি সার্চ কনসোল এ সাবমিট করে দিলেন ওয়েবসাইট টিকে ক্রল করতে। 
এবং গুগল ক্রল ও করলো কিন্তু গুগল এর চোখের আপনি হয়ে গেলেন আন-মাচেওর ক্রিয়েটের। তাই গুগল আপনাকে আর পাত্তা দিতে চাই না। এটি মনে রাখার বিষয় গুগল এর অনেক পয়সা ব্যায় হয় প্রতিটি ওয়েবসাইট এর এক এক টি লিংক চেক করতে প্রিতিদিন।

"আচ্ছা এ সবই বুজলাম-এবার বাঁচার উপায়টিও বলে দিন "

বাঁচার উপায় আছে। ফলো করুন গুগল এর EEAT (Experience, Expertise, Authoritativeness and Trustworthiness) ফর্মুলা।
Experience-আপনি অথর (লেখক ) পেজ এ যেই ব্যাক্তির সম্পর্কে Bio data দিয়েছেন গুগল সেই মানুষটিকে সমস্ত ইন্টারনেট এ খুঁজে তার সমস্ত সবকিছু দেখে বিচার করবে।
আপনার ওয়েবসাইট এর লেখক যদি একই বিষয় এ বহুদিন ধরে নানা রকম পোস্ট শেয়ার করে চলেছে আপনার ওয়েবসাইট ছাড়া আগে অন্য কোথাও (বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ও বড়ো কোনো ওয়েবসাইট এ ) তাহলেই গুগল আপনার লেখক কে এক্সপিরিএন্সড ভাববে ।
Expertise- আপনি Niche ওয়েবসাইট তৈরী করুন ;মানে একটি পার্টিকুলার বিষয় ভিক্তিক ওয়েবসাইট। গুগল কে বোঝান আপনি সবকিছু জানেন না বা পারেন না কিন্তু যেটুকু জানেন আপনার ওয়েবসাইট এর Niche/বিষয় এর উপর যা অন্য কারোর জানার বা বোঝার সেরকম সামর্থ নেই। অন্য অর্থে আপনি এই বিষয় এর একজন এক্সপার্ট।
Authoritativeness-গুগল কে আপনি বোঝান যখন কোনো ওয়েবসাইট আর ওই বিষয় এ বলার ক্ষমতা রাখে না তখন বিশদ এ জানার জন্য আমার সাইট এর লিংক দেয় তাদের তাদের পোস্ট এ। যাকে আমরা ব্লগার রা এক কোথায় ব্যাকলিংক বলি। 
যত হাই অথরিটি রেলিভেন্ট ব্যাকলিংক তত আপনার ওয়েবসাইট এর অথরিটি ও হাই হবে।সঙ্গে ওয়েবসাইট যত পুরোনো আর একটিভ হবে গুগল সেই ওয়েবসাইট কে তত বেশি প্রাধান্য দেয়।এমন অনেক ওয়েবসাইট দেখবেন যেগুলি আপনার চেয়ে কম DA ,PA কিন্তু আপনি তাদের ওভারটেক করতে পারছেন না নতুন ওয়েবসাইট এর কারণে।
Trustworthiness-আপনার লেখা কনটেন্ট এর বাস্তবিক বা মূল সূত্র কোথা থেকে এসেছে সেগুলি মেনশন করুন আপনার পোস্ট এ। যদি আপনি নিজেই রিসার্চ করেছেন তার প্রমান দিন পোস্ট এ। সুন্দর ভাবে সাজান আপনার পোস্ট ,আগ্রহী করুন পাঠক দের। 
আপনার পোস্ট এর গ্রামার,Plagiarism,সেন্টেন্স স্ট্রাকচার ,NLP ,ইনফোগ্রাফিক ,রিসোর্স লিংক (ইন্টারনাল এবং এক্সটার্নাল ) ঠিক করুন। যত বেশি সময় ধরে পাঠকদের নিজের ওয়েবসাইট এ ব্যাস্ত রাখতে পারেন ;করুন। প্রতিযোগী ওয়েবসাইট দের তুলনায় একটু বেশি ইনফরমেশন বা আপডেট দিন (কিন্তু অযথা কনটেন্ট লম্বা লিখবেন না ).
"ভাইয়া তাহলে নিউস ওয়েবসাইট কি করে রাঙ্ক করে , ওরা তো সব রকম এর বিষয় নিয়ে লেখে"-উত্তর দিন দেখি !
হুম ভালো প্রশ্ন ,এ ক্ষেত্রে একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন আপনার ওয়েবসাইট যদি একই বিষয় নিয়ে ১০০ টি কনটেন্ট লিখে থাকেন তো সেখানে ওই নিউস ওয়েবসাইট আপনার বিষয় এর উপর ১০০ এর বেশি কনটেন্ট লিখেছে সঙ্গে গুগল এর EEAT আরো ভালো ভাবেই ফলো করেছে।
N.B:
আমি গ্রুপ এর পুরোনো মেম্বার বহুদিন এই গ্রুপ এ পোস্ট করিনি কিন্তু গ্রুপ এ দেখলাম কিছু ভাইরা বুজতে পারছে না তাদের গাফিলতি কি ইনডেক্স কেন হচ্ছে না ওয়েবসাইট ,তাই এই পোস্ট টি করলাম সময় বের করে। আসা করি সবাই উপকৃত হবে। আরো কিছু প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন আমি জবাব দেয়ার চেষ্টা করবো।
পোস্ট টি লিখেছেন Tapan Beshra এবং পোস্ট লিংক ক্লিক করুন এখানে 

Post a Comment

Previous Post Next Post