জিমেইল ব্যক নেওয়ার ঘটনাগুলো এড়ানোর জন্য কি করা যেতে পারে ?
G-Mail বা জিমেইল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি গুগল অ্যাডসেন্সযুক্ত ওয়েবসাইটের জন্য। কারণ প্রাইমারি G-Mail বা জিমেইল ছাড়া আপনি ব্যাংক যুক্ত করতে পারবেন না পরবর্তীতে। আর সেজ্যই মূলত G-Mail বা জিমেইল গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
আজকের আর্টিকেলটি আমি মূলত পিনভেরিফাইড ওয়েবসাইট কেনার ক্ষেত্রে জিমেইলটা কিভাবে সবচেয়ে নিরাপদ রাখবেন সেই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
আসলে অনেক সময় সিকিউরিটি দেওয়ার পরেও জি-মেইল ব্যাক করে নেওয়ার মত তথ্য আমাদের হাতে এসেছে যার কারণেই বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিত বলা।
এভাবে বলেও যদি প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সেটাই মূলত আমাদের আজকের লিখার আসল উদ্দেশ্য।
সবার আগে জানতে হবে কিভাবে ব্যাক করে নিতে পারে সেই বিষয়টা নিয়ে। আমি দুইটা পদ্ধতি বা তিনটা পদ্ধতি বলতে পারি। যেমন,
(১) জি-মেইল এর সাপোর্ট এ সকল তথ্য সঠিকমত দেওয়া। যেমন, জন্মতারিখ, খোলার তারিখ, নাম, মোবাইল নাম্বার, গুরুত্বপূর্ণ মেইল এর তথ্য এসব।
(২) গুগলের কোন পেমেন্ট সিস্টেম এ যুক্ত থাকা। যেটা হতে পারে প্লে কনসোল বা গুরুত্বপূর্ণ সাইটে পেমেন্ট করা। যেটা জি-মেইলকে দেখিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে ব্যাক চাইতে পারে অনেক সময়।
(৩) কুকিস ব্যবহার করে নেওয়া বা সিকিউরিটি নরমাল থাকাগুলো সিকিউরিটি চেক করেই ব্যাংক নেওয়া। যদিও এই ধাপটা প্রতারকরা সবার আগে চেষ্টা করে থাকে।
উপরের তিনটা ছাড়া আমার জানা মতে আর অন্য কোন উপায়ে ব্যাক করে নিতে পারে না। আপনার জানা থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন আমি পরে যুক্ত করে দেবো বা আর্টিকেলটি আপডেট করে দেবো।
আমি বেশ কয়েকটি বিষয় আলোচনা করে শেষে একটা ফাইনাল সিদ্ধান্ত দিয়ে দেবো যেন আপনার জন্য বোঝা সহজ হয়।
(ক) নাম, বার্থডে, 2 স্টেপ সহ সকল ইনফরমেশন চেঞ্জ করে মেইল টা ফোনে লগইন রাখা । আর কয়েকবার পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে নিতে পারেন।
(খ) আপনি যদি এডমিন ডিল করেন তাহলে এডমিনকে বলে ২৪ ঘন্টা পর পেমেন্ট করতে বলতে পারেন। বা এডমিনকে জানিয়ে আপনি ২৪ ঘন্টার মত সময় নিতে পারেন।
যেটা অনেক সহজ একটা বিষয় এডমিনকে বললেই হবে। তারপর কুকিসগুলো সমস্যা কম করবে। আর এই সময়ের মাখখানে আপনি একাধিক কমপক্ষে ২ বার পাসওয়ার্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (নাম, ঠিকানা) পরিবর্তন করে নিবেন।
(গ) অবশ্যই আপনি সেলারের বা যার থেকে জি-মেইলটা নিবেন তার ডিভাইস থেকেই রিকভারিতে নাম্বার ও মেইল এবং টু-স্টেপ নাম্বার বসিয়ে কোড আপনার নাম্বারে আসে এমন বিষয়টা কনফার্ম করে নিবেন।
তারপর নিজের ডিভাইসে লগই করার সময় কোড কোন নাম্বারগুলোতে যায় চেক করে নিবেন। আপনি পাসওয়ার্ড পরিবর্তন সবার শেষে করবেন।
তার আগে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো একাধিক বার পরিবর্তণ করে নিবেন। নাম্বারও একাধিক বসিয়ে নিতে পারেন যেন কোন ভাবেই আগের নাম্বার সো না করে থাকে।
(ঘ) প্রথমত পাসওয়াড পরিবর্তন করে টু-স্টেপ করে নেওয়া। এপস পাসওয়াড ব্যবহার করা । রিকভারি সকল কিছু পরিবর্তন করে ফেলা এবং মোবাইল ডিভাইসে একাউন্ট টা সঙযুক্ত রাখা।
এছাড়াও আরো নিরাপত্তার জন্য সিকিউরিটি কি ব্যবহার করা। তাহলে ১০০% মেইল একাউন্ট নিরাপদ। কোন কুকিজ তখন কাজ করবে না।
(ঙ) উপরের চারটার পাশাপাশি আপনি ব্যাংক যুক্ত করে সেই প্রাইমারি মেইলটাকে কমপক্ষে ৭ দিনের জন্য রিমুভ করে রাখতে পারেন গুগল অ্যাডসেন্স বা Google AdSense থেকে।
এটা সর্বশেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বা পদ্ধতি। কারণ উপরের সব সিকিউরিটি ব্রেক করে জি-মেইলটা ব্যাক করেই নেয় তাহলেও সেই মেইলটা কোন কাজে আসবে না। কারণ সেটাতে গুগল অ্যাডসেন্স বা Google AdSense নেই।
উপরের বেশ কয়েকটা পয়েন্ট থেকে আমার কাছে সর্বশেষ পয়েন্টটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে এবং কাজটা করে রাখতে পারেন।
এতকিছু করার পরে আশা করি সমস্যা হবে না। এগুলো ছাড়াও যদি আপনার নিজের কোন ধরনের মতামত থেকে থাকে জানাবেন কমেন্ট করে।
আসলে বর্তমান সময়ে আমাদেরকে অনেক বেশি নিরাপত্তার বিষয়টাকে মাথায় রাখতে হবে। যেটার কারণেই মূলত নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা বেশি পরিমাণে করা।

Post a Comment