বর্তমানে অনেকেই ফেসবুকে “এডমিন” পরিচয়ে নিজেদের তুলে ধরতে চায়।
অনেকে আবার ফ্রি-তে বা কমিশনের বিনিময়ে ডিল করিয়ে কিছু টাকা আয়ও করছে।সবকিছু দেখে মনে হতে পারে—এটা সহজ একটা ইনকাম সোর্স।কিন্তু না! এই সহজতা এখন ভয়ংকর এক ফাঁদে রূপ নিচ্ছে।আপনি যদি একজন এডমিন হন, তাহলে এই তথ্যগুলো আপনার জন্য খুবই জরুরি:স্ক্যামাররা এখন ফেসবুক এডমিন ডিল ব্যবহারের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করছে।
কীভাবে?
1. একজন স্ক্যামার এসে বলল, “এই পেজটা বিক্রি করবো, আপনি ডিল করিয়ে দিন।”
2. আপনি ফর্মালিটি শেষ করলেন। ঠিক হলো, আপনি টাকা রিসিভ করবেন—পরে সেলারকে বুঝিয়ে দিবেন।
3. এরপর এক অচেনা ব্যক্তি (যার ফোন স্ক্যামার হ্যাক করেছে) তার একাউন্ট থেকে আপনার একাউন্টে টাকা পাঠালো।
4. আপনি সেই টাকা সেলারকে দিয়ে দিলেন—যেটা আসলে স্ক্যামারের আরেকটা আইডি!
5. কিছুদিন পর, যার একাউন্ট থেকে টাকা এসেছিল, সে থানায় গিয়ে আপনার নামে মামলা করে দিল!
এখন আপনি কী করবেন?
আপনার প্রমাণ কোথায়?
আপনি তো শুধু ডিল করছিলেন!
এই ধরনের ফাঁদে অনেক এডমিন ফেঁসে যাচ্ছে।
ফাঁসার পর নিজের ব্যক্তিত্বের কারণে মুখ খোলেনা, সবাই চুপ করে সহ্য করে।
আর ভয়ঙ্কর বিষয় হলো—স্ক্যামাররা এখন র্যান্ডম মানুষের ফোনে অ্যাপ ইন্সটল করে, পুরো ফোনের এক্সেস নিয়ে নেয়।এরপর সেই ফোন ব্যবহার করে আপনার একাউন্টে টাকা পাঠায়, এবং আপনাকে ব্যবহার করে কালো টাকা সাদা করে নেয়।একজন নিরীহ এডমিনের সঙ্গে রিসেন্টলি এমন ঘটনা ঘটেছে।
নিরাপদ থাকতে যা করা যেতে পারে।
1. অপরিচিত একাউন্ট থেকে কখনও টাকা রিসিভ করবেন না।
2. থার্ড পার্টি একাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন বন্ধ করুন।
3. ডিল করলেও এমন ব্যক্তির একাউন্ট থেকে টাকা নিন, যে প্রয়োজনে আপনার হয়ে মুখ খুলবে, থানায় যাবে, পাশে দাঁড়াবে।
4. সবসময় লেনদেনের স্ক্রিনশট, ভয়েস প্রমাণ, ও মেসেজ হিস্টোরি সংরক্ষণ করুন।
5. পরিচিত ও বিশ্বস্ত ব্যক্তি ছাড়া কারও সঙ্গে লেনদেন করবেন না।
একটি ছোট ভু্লের জন্যে, আপনাকে আইনি জটিলতায় ফেলে দিতে পারে।
বিশেষ করে যারা এডমিন ডিল করেদেন সবাই আরো সতর্ক হোন।
লিখা: সংগৃহীত পোস্ট
Post a Comment